দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা এ ভোট গ্রহণ চলবে। এই ধাপে ৬০টির মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে এসব পৌরসভায় শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। তাদের সহায়তার জন্য থাকবে আনসার সদস্যরা। এছাড়া ভোটার সংখ্যা এক লাখের অধিক হলে চার প্লাটুন, ৫০ হাজারের অধিক তবে এক লাখের নিচে হলে তিন প্লাটুন, ১০ হাজারের অধিক তবে ৫০ হাজারের নিচে হলে দুই প্লাটুন এবং ভোটার সংখ্যা ১০ হাজারের নিচে হলে এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকছে পৌর নির্বাচনে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র জানায়, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে দিনাজপুরের জেলার বীরগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট ও আড়ানী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ফরিদপুর, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরার মাগুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায়।
ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, উল্লাপাড়া, সদর ও রায়গঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুষ্টিয়ার সদর, ভেড়ামারা ও মিরপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সদর ও ছাতক, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নাটোরের গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার শেরপুর, বান্দরবান জেলার লামা এবং কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায়।
দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করলেও নীলফামারীর সৈয়দপুরের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মেয়র পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারিকেল গাছ প্রতীক) মো. আমজাদ হোসেন সরকারের মৃত্যুতে এ পৌরসভার ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এসব পৌরসভাতে মেয়র প্রার্থী ২২১ জন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ৭৪৫ এবং সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২,৩২০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ২২ লাখ ৪০ হাজার ২২৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ জন এবং নারী ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৬ হাজার ৫০৮টি।
৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।