দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছে সিরাজগঞ্জের শহীদ মডেল স্কুল (বেলকুচি শাখা)। এমন খবরে সাংবাদিকরা ওই স্কুলে গেলে পরীক্ষার্থীদের রেখেই পালিয়ে যান প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা। পরে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, বারবার ফোন দিয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
স্কুল চালু রেখে পরীক্ষা নিচ্ছে এমন খবরে রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে বেলকুচি শহীদ মডেল স্কুলে যান কয়েকজন সাংবাদিক। তারা গিয়ে দেখতে পান, স্কুলের ছয়টি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলছে। অনেক শিক্ষার্থীর মুখে মাস্কও ছিল না।
অন্যদিকে সকাল ১০টা থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের দেখেই শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে রেখেই কৌশলে পালিয়ে যান।
স্কুলটির একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষকরা ফোন দিয়ে পরীক্ষা দিতে চাপ দিয়েছেন। পরীক্ষার জন্য ফি নেয়াও হয়েছে।
একজন অভিভাবক জানান, পরীক্ষার জন্য ফি ৪০০ টাকা নেয়া হয়েছে।
স্কুলটির পরিচালক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, দীর্ঘ ১৭ মাস ভবনের ভাড়া বাকি। শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। ঈদের আগে তাদের কিছু দেয়া উচিত। তাই পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।
বেলকুচি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম গোলাম রেজা সরওয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।