আবারও ঋণ পরিশোধে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ছাড়ে ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না গ্রাহক। বুধবার এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যেসব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং নতুন করে নবায়ন করা হয়নি, এসব ঋণের শুধু সুদ পরিশোধ করলেই ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নিয়মিত রাখা হবে। এসব গ্রাহকের কেউ ২০২০ সালের সুদ বকেয়া থাকলে চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ৬টি ত্রৈমাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত যে সুদ আসে, তা ত্রৈমাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। আগে চলমান ঋণের কিস্তি প্রতি মাসে পরিশোধ করতে হতো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, কোনো ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে বিশেষ সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। ওই ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এ ছাড়া তলবি ঋণ চলতি মার্চ থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮টি ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। এভাবে শোধ হলে খেলাপি করা যাবে না।
পাশাপাশি গত বছরে যারা কিস্তি না দিয়েও খেলাপি হননি, এমন মেয়াদি ঋণের মার্চের কিস্তি জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ হলেও খেলাপি হিসেবে দেখানো যাবে না। এর ফলে চলতি মার্চে কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি হবেন না। পাশাপাশি চলমান ঋণের সুদ পরিশোধ করলেই খেলাপিমুক্ত থাকা যাবে। মূলত করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।