জুন ৪, ২০২৩ ৫:৩৩ অপরাহ্ণ || শতাব্দীর দৃষ্টিকোণ
বিনোদন শিরোনাম

চিরনিদ্রায় শায়িত আলী যাকের

বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রবীণ অভিনেতা আলী যাকের রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন। শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে দাফন সম্পন্ন হয়।

তাঁর মৃতদেহ এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে রাখা হয়। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। স্বজন ও সংগঠনগুলো সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধা ও শেষ বিদায় জানায়। বেলা ১টার দিকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় আলী যাকেরের কর্মস্থল বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক-এর অফিসে। সেখানে কিছুক্ষণ রেখে নিয়ে যাওয়া হয় বনানী গোরস্থান মসজিদে।

২৭ নভেম্বর, শুক্রবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ‘যাকের ভাই গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’

আলী যাকেরের ছেলে ইরেশ যাকের জানান, ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন আলী যাকের। বার্ধক্যজনিত নানা রোগেও ভুগছিলেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৯৪৪ সালের ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের রতনপুর ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আলী যাকের। তিনি টেলিভিশন ও মঞ্চ নাটকে সমান জনপ্রিয়। ‘বহুব্রীহি’, ‘আজ রবিবার’সহ বহু নাটকে তার অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে। মঞ্চেও আলী যাকের এক জাদরেল অভিনেতার নাম।

একই সঙ্গে দেশীয় বিজ্ঞাপন শিল্পের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব আলী যাকের। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিক থ্রিসিক্সটির কর্ণধার তিনি। তার সহধর্মিণী সারা যাকেরও একজন অভিনেত্রী। তাদের ছেলে ইরেশ যাকের অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে সমাদৃত। মেয়ে শ্রিয়া সর্বজয়া একজন আরজে হিসেবে পরিচিতি পেলেও তিনি অভিনয়ও করেছেন কিছু নাটকে।

১৯৯৯ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার আলী যাকেরকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী পদক, নরেন বিশ্বাস পদক এবং মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেছেন।

Similar Posts

error: Content is protected !!