শবনম ফারিয়া ও হারুন অর রশীদ অপুর আংটিবদল হয় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। সবশেষ চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর বিয়ের ঠিক ৬৬৫ দিনের মাথায় (এক বছর ৯ মাস) বিচ্ছেদ হলো এই দম্পতির। এখন তারা সম্পর্কে সাবেক।
২৭ নভেম্বর, শনিবার গণমাধ্যমকে শবনম ফারিয়া বিবাহ বিচ্ছেদের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
সংসার ভাঙার কারণ হিসেবে শবনম ফারিয়া কোনো অভিযোগ না করে জানান, উল্লেখযোগ্য কোনো কারণ নেই এই বিচ্ছেদের পেছনে। ফলে একে অপরের প্রতি কোনো অভিযোগও নেই। দুজনেই চেয়েছি নিজেদের মতো ভালো থাকতে।
হারুন অর রশীদ অপু-ফারিয়া
তিনি আরো জানান, ‘আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি! ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে! কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়। আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না। তাই বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারো ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।’
হারুন অর রশীদ অপু-শবনম ফারিয়া
২০১৫ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ফারিয়া-অপুর পরিচয় হয়। দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তিন বছর পর বন্ধুত্বের সীমানা পেরিয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আংটিবদল হয় তাদের।
অপু-ফারিয়া
এর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ফারিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।
তিনি লিখেছিলেন, ‘৬ মাসও টিকবে না বলা বিয়েটা কীভাবে কীভাবে জানি ২ বছর টিকে গেল! সব ভুলে যাওয়া, দায়িত্ব থেকে পালানো, জিদ্দি ছেলেটা আজকাল স্বামী হয়ে ওঠার প্রবল চেষ্টা করছে। আর আমার রাগ এবং ধৈর্যের পরিমাণ শান্তিনগর থেকে উত্তরার রাস্তার জ্যামের মতো প্রতিদিন বেড়েই যাচ্ছে। আমি মালদ্বীপের সমুদ্রের পাড়ে নিরিবিলি বসে থাকতে চাই, আর সে ব্যাংককে পার্টি করতে যেতে চায়। আমি যখন শুক্রবারে বিকেলে রিকশায় ঘুরতে চাই, আর সে বিছানায় শুয়ে পাবজি খেলায় মনোনিবেশ করতে চায়। আমরা ভিন্ন, কিন্তু দুজন মিলে ‘এক’। অনেক অভিমান, অনেক খুঁনসুটি, শুধুমাত্র ঝগড়া এড়িয়ে থাকার জন্য বহু বহু দিন কথা না বলে থাকা। তারপরেও ‘আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ’।’
অপু-শবনম ফারিয়া
গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও বেসরকারি চাকুরীজীবী হারুন অর রশীদ অপু। এদিন নৌকায় ভেসে ভেসে পরীর বেশে বিয়ের আসরে হাজির হলেন নববধূ শবনম ফারিয়া! অন্যদিকে একই সময়ে লেকের পাড় ধরে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে এলেন বর হারুন অর রশিদ অপু। এমন নান্দনিক বিয়ের আয়োজন এর আগে কোনো শিল্পীকে ঘিরে হয়নি আগে। মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার গভীরে, নয়নাভিরাম ‘জল-জোছনা’য় উন্মুক্ত আকাশের নিচে আয়োজিত হয় এটি।
অপুর সঙ্গে শবনম ফারিয়া