অভিশংসনের খড়্গ ছাড়াও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে নতুন বিপদ আসন্ন হয়ে উঠেছে। ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তাদের ভোটের ফল পাল্টে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এতে আইনের কোনো লঙ্ঘন হয়েছে কিনা-এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে। রয়টার্স।
৮ ফেব্রুয়ারি জর্জিয়ার সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জার এই তদন্ত শুরুর কথা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। রিপাবলিকান রাজ্য হিসেবে পরিচিত জর্জিয়ার নির্বাচনে অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিন দফা গণনার পরও ফলের কোনো পরিবর্তন না হলে রাজ্যের সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জারকে ফোন করেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস থেকে ফোন করে যেভাবেই হোক ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের চেয়ে ভোট বেশি প্রাপ্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বাইডেনের চেয়ে মাত্র এক ভোট বেশি হলেই তার চলবে বলে উল্লেখ করেছিলেন ট্রাম্প। এ ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য ট্রাম্প সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জারকে বলতে থাকেন।
ব্র্যাড রাফেন্সপার্জার নিজের অবস্থানে শক্ত থেকেছেন। প্রেসিডেন্টের কথা বা চাপে তার অবস্থান থেকে না সরে নির্বাচনের সঠিক ফল প্রত্যয়ন করার পক্ষে তিনি অনড় থেকেছেন। এ কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। সেক্রেটারি অব স্টেট ব্র্যাড রাফেন্সপার্জারকে টেলিফোনে ট্রাম্প সমর্থকেরা হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে।
রাফেন্সপার্জারের পক্ষ থেকে তার মুখপাত্র ওয়াল্টার জোনস বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার বেশ কিছু আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের ফলের ভিত্তিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের এখতিয়ারভুক্ত বলে জানানো হয়েছে।
জর্জিয়ার নির্বাচন বোর্ডে ব্র্যাড রাফেন্সপার্জার ছাড়াও পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে এমন কোনো অনিয়ম ও জালিয়াতির চেষ্টার অভিযোগ এ পাঁচ সদস্যের যে কেউ করতে পারেন। তদন্তের ফলাফল পাওয়ার পর তা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসে যাবে এবং সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে অপরাধের অভিযোগ এনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা শুরু হবে কিনা।