থেমে থেমে দিন ভর বিভিন্ন কেন্দ্র এলাকায় গুলি, বোমাবাজি, সংঘর্ষে উত্তপ্ত অবস্থার মধ্যে শেষ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। বুথ দখল, ভোটারদের প্রভাবিত করা, এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দেয়ার মতো নানা অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষেরই।
এই দুই দলের নেতা-কর্মীরাই এ দিন সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এরইমধ্যে কয়েকটি জায়গা থেকে ভোট বয়কটের খবরও পাওয়া গেছে। রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের হেমতাবাদ গ্রামের ৩৩ নম্বর বুথের ভোটাররা ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। খালি বুথ পাহারা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। দাবি না মিটলে, ভোট নয় বলে বুথের ধারে কাছে আসছেন না কোনো ভোটার।
নদীর বুকে সেতুর দাবিতে ২৫ গ্রামের বাসিন্দা ভোট বয়কটে সামিল হয়েছেন। রায়গঞ্জের সঙ্গে এই ২৫টি গ্রামের যোগাযোগের মাঝখানে একটি সরু নদী আছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিপদ হাতে নিয়ে পারাপার হন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বছরের-পর-বছর আশ্বাস দিয়েও ব্রিজ তৈরি করে দেয়নি প্রশাসন।
‘বেঁধেছি জোট, দেব না ভোট’ স্লোগানে দীর্ঘদিন ধরে ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক ভোটাররা গণতন্ত্রের উৎসবে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
অন্য দিকে আগেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের লালকুঠি এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীকে বিজেপি কর্মীরা গো ব্যাক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়ায়।
বিজেপি কর্মীরা রাজ চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিজেপির অভিযোগ, ভোটে অশান্তি পাকাতে রাজ চক্রবর্তী বহিরাগতদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্তের অভিযোগ, কুইক রেসপন্স টিম নিষ্ক্রিয় থাকায়, দিকে দিকে অশান্তি ছড়াচ্ছে।
কমিশন ঘটনার প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে।
বীজপুরে মার-পাল্টা মারে মাথা ফেটেছে তৃণমূল কর্মীর। রেহাই পাননি বিজেপি কর্মীর বয়স্ক মা-ও। রড-বাঁশ নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষ।
স্পর্শকাতর ব্যারাকপুরে কমিশনের বাড়তি নজর থাকা সত্ত্বেও সহিংসতার ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত কমিশনে ১০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভোটারের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কমিশন অবশ্য গুলি চালানোর অভিযোগ মানতে চায়নি। হাবরা বিধানসভার চাপড়া এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে খুনের খবর মিলেছে। পুলিশের কাছে প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।