অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলী দখলদার বাহিনী। রোববার ভোরেও গাজা শহরের কেন্দ্রে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন শিশু।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ নিয়ে ইসরায়েলের গত এক সপ্তাহের অব্যাহত হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে ১৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ৫২ শিশু রয়েছে। এদিকে হামাসের ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে দুইটি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে। এদিকে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রধানের বাড়ি। হামাসের আল আকসা টেলিভিশনের এক খবরে বলা হয়েছে যে, গাজার হামাস প্রধান ইয়াহইয়া আল সিনওয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, যতদিন প্রয়োজন গাজায় হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর ইসরাইলি বাহিনীর হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গাজায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির কার্যালয় ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় বহুতল ভবনটি ধসে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। এতে বেশকিছু অফিস ও আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল।
দেশ দুটির মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসেছে। অপরদিকে জেরুজালেম ও গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছে ওআইসি। বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।