জুন ২, ২০২৩ ৬:৪৬ অপরাহ্ণ || শতাব্দীর দৃষ্টিকোণ
আন্তর্জাতিক শিরোনাম

নারদকাণ্ডে এবার মমতার নাম

পশ্চিমবঙ্গের চাঞ্চল্যকর নারদা দুর্নীতি মামলায় এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম যুক্ত করেছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। সংস্থাটির বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আদালতে মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য কোনো রাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছে সিবিআই।

আবেদনের পক্ষে যুক্তি হিসেবে সিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এই মামলার বিচারকাজ চললে তাতে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের সম্ভবনা আছে। আবেদনে দুই মন্ত্রীসহ চার তৃণমূল নেতার কারা হেফাজত বহাল রাখার আবেদন জানিয়েছেন তারা। এর আগে সোমবার নারদ মামলার আসামি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগর উন্নয়ন ও পৌরসভা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক (বিধানসভার সদস্য) মদন মিত্র ও বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।

তাদের গ্রেপ্তারের এক ঘণ্টার মধ্যেই সিবিআই কার্যালয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘তাহলে আমাকেও গ্রেপ্তার করুন। নইলে সিবিআই দপ্তর ছাড়ব না।’

গত বছরের মার্চ মাসে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের একদল নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়কদের অর্থ গ্রহণের এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করে দিল্লির নারদ নিউজ ডটকম নামের একটি ওয়েব পোর্টাল।

ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে ঘরে, হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে টাকা। নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে বিজেপির ‘হেভিওয়েট’ নেতা।

মুকুল রায় বর্তমানে সর্বভারতীয় বিজেপির সহ-সভাপতি এবং শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা। তবে এই দুজনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো আইনী ব্যবস্থা নেয়নি সিবিআই। এদের বিরুদ্ধে আদৌ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না, সে ব্যাপারেও কিছু বলতে অপারগতা জানিয়েছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।

Similar Posts

error: Content is protected !!