ঢাকা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু বিজয়ী হয়েছেন। শনিবার (১৭ অক্টোবর) বেসরকারি ফলাফলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সেহতাব উদ্দিন রাত পৌনে ১০টার দিকে এই ঘোষণা দেন।
তিনি জানান, আসনের ১৮৭টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী মনিরুল ইসলাম মনু নৌকা প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৪২টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৯২৬ ভোট।
৪২ হাজার ৭১৬ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছে মনিরুল ইসলাম। যদিও ভোট পড়েছে মাত্র ১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
ঢাকার এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৪১৩, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ডাব প্রতীক নিয়ে ৪৯ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান (সুমন মাস্টার) আম প্রতীক নিয়ে ১১১টি ভোট পেয়েছেন।
আসনটিতে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ইভিএমের (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়।
গত ৬ মে হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে ঢাকা-৫ আসন শূন্য হয়।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ঢাকা-৫ আসন গঠিত।
এদিকে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ এনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ এবং ফলাফল বর্জন করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ।
পাশাপাশি অনিয়মের প্রতিবাদে রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় নির্বাচনী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। সালাহউদ্দিন প্রার্থী হলেও ভোট দিতে পারেননি, কারণ তিনি ঢাকা-৪ নির্বাচনী এলাকার ভোটার। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম সকালে যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন দাবি করলেও, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি এই আসনের ভোটার নন।