স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য কোভিড-১৯ ‘নেগেটিভ’ সনদ আবার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ আনতে না পারলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ১৫ নভেম্বর, রোববার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ আবার বাড়ছে, এর মধ্যেই বিদেশ থেকে মানুষ আসছে, অনেকে বাইরে যাচ্ছে। ভাইরাসের বিস্তার রোধেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
‘আমাদের একটা নিয়ম করা আছে, তারা করোনাভাইরাস টেস্টের পর নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে। তা না হলে ১৪দিন কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক। বিমানবন্দর, স্থলবন্দর বা সমুদ্রবন্দর- যে পথেই দেশে আসুক। সব জায়গায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সব জায়গায় কোয়ারেন্টিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গতবছর ডিসেম্বরে চীনে যখন নতুন এ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল, অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও জানুয়ারি থেকেই বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। বিদেশফেরত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি কারো মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়।
ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সে সময় হাতে সিল লাগিয়ে দেয়ারও ব্যবস্থা নেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। মাঝখানে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও এখন আবার কয়েকটি দেশ থেকে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ইতোমধ্যে তা ৪ লাখ ৩২ হাজার পেরিয়ে গেছে। এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ১৯৪ জনের মৃত্যুর তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি ৩৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ১৩ লাখ ১২ হাজারের কাছাকাছি।