সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ ১০টি ইস্যু নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বিএসএফ’র মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে এ সম্মেলন শুরু হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রতিনিধি দলে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আছেন।
অন্যদিকে, ভারতের পক্ষে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলো হলো
১. ভারত থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, হেরোইন এবং ভায়াগ্রা/সেনেগ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্যের চোরাচালান রোধ।
২. সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো ও আহত/হত্যা করা সম্পর্কে প্রতিবাদ জানানো এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বন্ধে করণীয়।
৩. ভারতীয় সীমান্তের অভ্যন্তরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়।
৪. ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান রোধ এবং অস্ত্র চোরাচালান রোধে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তথ্য বিনিময়।
৫. বিএসএফ এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক সীমানা লঙ্ঘন/অবৈধ পারাপার/অনুপ্রবেশ রোধ।
৬. রাজশাহী সীমান্তের চর মাজারদিয়া ও চর খানপুর এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে পদ্মা নদীর ভারতীয় অংশ ব্যবহারের অনুমতি নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর যৌথ আলোচনার দলিল (জেআরডি) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল দেশে ফিরবেন।