সাংবাদিকরা আর কতদিন দ্বিধাবিভক্ত থাকবে বলে প্রশ্ন রেখেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শনিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি।
‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মুক্তি ও নির্যাতনকারীদের বিচার এবং উপনিবেশিক অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে’ এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা আর কতদিন দ্বিধাবিভক্ত থাকবেন। আপনারা সব সাংবাদিক এক হতে পারছেন না কেনো। সুখবর হচ্ছে, সাংবাদিক রোজিনার জন্য আপনারা পথে-ঘাটে প্রতিবাদ করছেন। সবাই মিলে সরকারের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করছেন।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল রোববার যদি সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন না হয় তাহলে আমরা কি করবো। আমি বলতে চাচ্ছি, সকাল ৯টার আগেই শত পুলিশের বিপরীতে পাঁচ হাজার লোক নিয়ে কোর্ট ঘেরাও করে রাখেন। জামিন হলে ভালো, না হলে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। কারণ এই মিথ্যাচার চলতে পারে না।’
নাগরিক সমাবেশ থেকে রোজিনা ইসলামকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে প্রধানমন্ত্রীর নিকট আহ্বানও জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত, ডাকসুর ভিপি নূরল হক নূর, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, গনফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, রাষ্ট্র চিন্তার সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান, নারী নেত্রী দিলশানা পারুল, কবি হাসান ফকরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ উদ্দিন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি কালাম ফয়েজী, কবি হাসান ফকরী প্রমূখ বক্তব্যে রাখেন।