করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সৌদি সরকারের দেওয়া নতুন বিধিনিষেধে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। ফ্লাইট নিয়ে বিমানবন্দরে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন তারা।
দেশটিতে নিজ খরচে ৭ দিন কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল বুকিংয়ে সহযোগিতা না পাওয়ায় অনেকের যাত্রা অনিশ্চিত। হোটেল বুকিংয়ের জন্যও গুনতে হচ্ছে প্রায় পৌনে এক লাখ টাকা। ২৪ মে পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বন্ধ থাকায় পদে পদে হয়রানির অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
সৌদি আরবের বেঁধে দেয়া নানা শর্তে ফ্লাইট মিস করা যাত্রীদের নতুন করে টিকিট কাটতে শুক্রবার দিনভর ভিড় ছিল টিকিট কাউন্টারে। বৃহস্পতিবার হাতে টিকিট নিয়েও যারা ফ্লাইটে উঠতে পারেননি তাদেরও ভিড় দেখা গেছে কারওয়ান বাজারের সৌদিয়া এয়ারলাইনসের টিকিট কাউন্টারে।
বিমানবন্দরে সারা রাত অপেক্ষার পরেও বিমানে উঠতে ব্যর্থ হয়ে সকালে সৌদিয়া এয়ারলাইনসের টিকিট নিয়েছেন তারা। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে সকাল সাড়ে ১০টায় কাউন্টার খুলেও আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে দুপুরে আবারও শুরু হয় টিকিট রি-ইস্যু। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিমান বন্ধ থাকার সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, সৌদি সরকার ৫২টি হোটেলের কথা বলেছে। এখন তারা সৌদি হলিডে নামক একটি হোটেলে বুকিং নিতে বাধ্য করছে। একটা দিশেহারা অবস্থার মধ্যে পড়েছেন সবাই। গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব কিনা জানি না। হোটেল বুকিং না হওয়ায় যেতে পারেননি অনেকে যাত্রী।
এ অবস্থায় চরম অনিশ্চয়তায় কথা উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। সৌদি সরকারের নতুন নির্দেশনায় দেশটিতে যেতে প্রয়োজন হবে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট, এয়ারলাইন্সের নির্ধারিত হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা।
নতুন নির্দেশনার আগে যারা নিজ দায়িত্বে কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেল ব্যবস্থা করেছেন, তাও বাতিল করেছে সৌদি এয়ারলাইন্স। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পৌনে এক লাখ টাকার মতো খরচ করে নির্ধারিত হোটেলে বুকিং দিয়েই টিকিট নিশ্চিত করতে হবে সৌদিগামী যাত্রীদের।